৪৮ বছর পর তিন মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় মামলা দায়ের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ০৯:৩৬ PM , আপডেট: ১১ মে ২০২৩, ০৯:৩৬ PM

আজ থেকে ৪৮ বছর আগের কথা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তমসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান। তিনি ওই সময়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রুবায়েত জামান। তিনি বলেন, তথ্য যাচাই করছি, এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সেনাবাহিনীর বিপথগামী, বিশৃঙ্খল সদস্যদের হাতে’ নিহত হন কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, ওই সময় তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তমকেও একই সময়ে হত্যা করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, সেই সময়ের সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ও জাসদ নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু তাহেরের নির্দেশে ২০-২৫ জন সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকের একটি দল নাজমুল হুদাসহ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে শুধু ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাবেক মেজর আব্দুল জলিল জীবিত আছেন। তাকেই আসামি করা হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৮৩ দিন। ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের পর সেনা কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একটি অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ওই সময় সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয়।
৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান হয় সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা আবু তাহেরের নেতৃত্বে। তখন মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। ওই সময় খালেদ মোশাররফসহ তার সঙ্গীদের হত্যা করা হয়।