বিএনপি চাইতো ভিক্ষে করতে, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
  © সংগৃহীত

কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে বিএনপি উন্নত দেশ থেকে ভিক্ষে করতে খাদ্য ও কৃষির উৎপাদন বাড়াতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সোমবার (১৫ মে) জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সরকার কাজ করছে। এ কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে বিএনপি তা চাইতো না। তারা ভিক্ষের জন্য খাদ্য নির্ভরশীলতা অর্জনে বিশ্বাসী ছিল না। তার চাইতো বিদেশ থেকে ভিক্ষে করতে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশের কৃষির মেরামত শুরু করি। আজ আমাদের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।
 
খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি তা রফতানি বাড়াতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়লেও কৃষিপণ্য সংরক্ষণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এ জন্য আমরা আট বিভাগে বিশেষ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবো। এছাড়া কৃষিপণ্যের একটি বড় বাজার আছে বিদেশে। দ্রুততম সময়ে আমরা যাতে বিদেশে পণ্য পাঠাতে পারি সে জন্য বিশেষ কার্গো  দবিমান কিনছি।  
 
এ অবস্থায় সামনের দিনে কৃষিপণ্য উৎপাদন লাভজনক হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে গ্রামে গিয়ে নিজ নিজ জমি চাষের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
 
তিনি বলেন, আপনার গ্রামে পিরে নিজ নিজ জমি চাষের উদ্যোগ নিন। আমি নিজেও ধান চাষ করে ২০০ মণের মতো ধান পেয়েছি। সবাই উদ্যোগ নিলে আমাদের খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা দেশের ভালো দেখতে পারে না। তারা চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতেও বধির। হয় এটা তাদের জ্ঞানের অভাব অথবা দূরভিসন্ধি।’

তবে এসব ষড়যন্ত্রে দমে না গিয়ে কাজ করে যাওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের বাংলাদেশকে ২০২৩ সালের বাংলাদেশে আমরা টেনে এনেছি। আজকের বাংলাদেশের দিকে নজর দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। আজ আমাদের অতিদরিদ্রের হার ৫.৬। আমরা একে শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করছি।


মন্তব্য