নির্বাচনকে গণমুখী করেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেখানে ভুয়া ভোট দিয়ে ভোটার তালিকা হতো সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড; এছাড়া যতটুকু সংস্কার, মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন- এগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সও করে দিয়েছি আমরা। তারপরও কেউ যখন গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোট নিয়ে ছবক দিতে আসে আমাদের, সেখানে বলার কিছু থাকে না।

তিনি বলেন, যারা ভোট ডাকাত ছিল তারাই এখন গণতন্ত্র চায়, ভোটের অধিকারের কথা বলে। যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় এই সমস্ত কথা! মাঠের কথা মাঠে থাকবে, আমরা জনতার সঙ্গে থাকব। জনতার পাশে থাকব। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করব, জনগণের জন্য কাজ করব।

পড়ুন>>> শেখ হাসিনাকে সরাতে পশ্চিমা বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: আওয়ামী নেতা

বুধবার (১৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে, ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? নানা পদক্ষেপের ফলে, বিভিন্ন সংস্কার করে করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে একটা গণমুখী করেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, ভোট সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এ স্লোগান দিয়ে মানুষকে যে ভোটের সম্পর্কে সচেতন করা, এটা আওয়ামী লীগই করেছে। এটা আর কারও না।

স্মার্ট বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়ে সেটি কার্যকর করতে সেটি কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বা যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে তাদের ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। আমাদের অর্জন নস্যাৎ করতে চায় তারা। উদ্দেশ্যে যদি সততা সঙ্গে হয়, তাহলে যে কোনও জায়গায় সাফল্য আনতে পারে। এই কথাটা সবসময় মনে রাখি।

তিনি বলেন, লক্ষ্য একটাই, এদেশে মানুষের জীবনটা উন্নত করা। তাদের ভাগ্যটা পরিবর্তন করা। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়েছিলেন দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। সেই হাসি ফোটানোটাই একমাত্র কর্তব্য। সেটা আমরা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আজকে যখন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দিই, সেই ঘর পাওয়ার পর তার যে মুখের হাসি ও চোখের পানি একাকার হয়ে যায়; আমার মনে হয় এর চেয়ে বড় পাওয়া বা সার্থকতা আর কিছু নেই। বাংলাদেশ অগ্রযাত্রাটা যেন অব্যাহত থাকে, তাই আমাদের প্রচেষ্টা হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেদিন ফিরে আসি সেদিন তো আর চেনা মুখগুলো পাইনি। কিন্তু পেয়েছিলাম এদেশের জনগণকে, আর আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে। সেই থেকে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের জনগণ আমার পরিবার। আমি সেভাবেই নিয়েছি।

‘আজকে আমি বলব, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এটাকে ধরে রেখে বাংলাদেশে এগিয়ে নিতে হবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলতে হবে।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক হাসান মাহামুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপুর মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রীকে।


মন্তব্য