জানি অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু এটা বেশিদিন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

বৈশ্বিক পরিস্থতির কারনে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক সংকট বেশিদিন থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুক্রবার শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় সরকার প্রধান বলেন, ‘কোভিড ১৯ আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের কারণে অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সবারই একটু কষ্ট হচ্ছে মুদ্রাস্ফিতির কারণে। এটা শুধু বাংলাদেশ না সারা বিশ্বই এই মুদ্রাস্ফিতির কবলে পড়েছে।

‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আমি জানি আমাদের জীবনে কিছু অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু এই অসুবিধাটা থাকবে না’, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টির জন্য আল্লাহে কাছে শুকরিয়া জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, গত কয়েকদিন যেভাবে গরম পড়েছিলো। আমি জানি না, আজকের এই সমাপনী দিন সেই গরমে খেলতে গেলে সবারই কষ্ট হতো।

‘আল্লাহর মেহেরবানিতে গতকাল ও আজ বৃষ্টি হয়ে, যেন শুধু বৃষ্টি না আমাদের জন্য শান্তির বারতা নিয়ে এসেছে আমাদের জীবনে।’

শুক্রবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয় মুখোমুখি আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। এতে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইউনিয়ন ব্যাংক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে উপস্থিত হয়ে খেলা উপভোগ করেন। সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। পরে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাইজমানি হিসেব চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছ ৫০ লক্ষ টাকা। আর রানার্সআপ দলের প্রাপ্তি ৪০ লক্ষ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে বিশ্বের সেরা হবে। খেলাধুলা অর্থনৈতিক অগ্রগতি সব দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।

‘কারন আমরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবেই আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো। নিশ্চই এই আত্মবিশ্বাস আমাদের ছেলে মেয়েদের মধ্যে সব সময় কাজ করবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোনো অসাধ্য সাধন করা যায়। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।’

এসময় পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে ফুটবল সহ অন্যান্য খেলাধুলার জন্য আরেকটি স্টেডিয়াম তৈরির ঘোষনা দেন প্রধানমন্ত্রী।