খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ০৫:৩০ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০২৩, ০৫:৩০ PM

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই সিটির ২-৩টি কেন্দ্র ছাড়া বাকিগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে বেলা চারটার আগে যারা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেও ভিড় বা যান্ত্রিক সমস্যার কারণে ভোট দিতে পারেননি, চারটার পরেও তাদের ভোটগ্রহণ চলবে। দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা আছে দুই সিটি। ইসির দাবি, ভোট সুস্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
আজকের ভোটে নির্ধারিত হবেন দুই নগরপিতা। এ নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই দুই সিটির ভোটারদের।
গত ১৬ মে মনোনয়নপত্র দাখিলের মাধ্যমে দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। আজ সোমবার (১২ জুন) ভোটগ্রহণের পর মেয়র নির্বাচনের পাশাপাশি নির্বাচিত হবেন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও।
নির্বাচনি মাঠে মোতায়েন আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কেন্দ্র পাহারায় মোতায়েন ছিল ১৬ থেকে ১৭ জনের ফোর্স। মাঠে নির্বাচনি আচরণ প্রতিপালনে নিয়োজিত রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশনাররাও।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু লাঙল প্রতীকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক এবং এস এম শফিকুর রহমান টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মোট ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনি এলাকায় ৩০ জন নির্বাহী ও ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন ও বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে ১০ প্লাটুন বিজিবি, তিন সেকশন কোস্টগার্ড, র্যাবের ১৬টি টিম, পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারের ৪৩টি টিম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের দুদিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। ভোটের দিন সীমিত থাকবে যন্ত্রচালিত যান চলাচল। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সবধরনের মিছিলের ওপরও। সবার ভোট দেওয়ার সুবিধার্থে ভোটের এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি।