বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
  © সংগৃৃহীত

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে একজন মানুষও ভুমিহীন গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক ধারার কারণেই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল প্রোগ্রামে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ড সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের শেষ দিনে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়েজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণই ভোটের মালিক। সময়মত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খুনিদের ক্ষমতায় এনে বাংলাদেশের মাথা নত হতে দেয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, দেশের মানুষ হবে স্মার্ট নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে, সে পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সরকার প্রধান আশা করেন, আইসিটি সেক্টর হবে আগামী দিনের সবচেয়ে বড় রপ্তানীখাত।

দেশের সকল সংকটে পাশে দাড়ানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রবাসী কল্যান ব্যাংকসহ প্রবাসীদের কল্যানে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বৈধ পথে প্রবাসীদের রেমিস্টেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন:- বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে: প্রধানমন্ত্রী

এর আগে জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-২০২৩ মেয়াদে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৫৪৩ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪১.৫ শতাংশ থেকে প্রায় ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫.৫ শতাংশে থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার পর, যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশের মানুষের উন্নয়নে কিছুই করেনি। গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন:- সয়াবিন তেলের দাম কমলেও সুফল পাচ্ছে না ক্রেতারা

প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে বাড়ি বিতরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও চাপ সৃষ্টি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বলেন যে তার সরকার এই চাপ কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। একটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়তে ভিশন থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়য়ামী লীগ ২০২১ সালের রূপকল্প ঘোষণা করেছিল এবং সেই রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে তার সরকার রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।