বিপৎসীমায় তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট!

তিস্তা ব্যারেজ
তিস্তা ব্যারেজ  © ফাইল ছবি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ!

শনিবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উজানে বর্ষণ ও নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমায় অবস্থান করছে। একদিনের ব্যবধানে পানি বেড়েছে প্রায় এক সেন্টিমিটার। ফলে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পানি বাড়া-কমার মধ্যে থাকবে। পানি বাড়লে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।

আরও পড়ুন:- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এখন স্থিতিশীল: দিল্লিতে হাইকমিশনার

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে গত ৫ দিনে তিস্তা নদীর পানি সমতল পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০  সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টের পানি ৫২ দশমিক ২ মিটারে প্রবাহিত হয়েছে। যা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচে। উজানে দোমুহুনি পয়েন্টে পানি সমতল স্থিতিশীল হওয়ার কারণে তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামী ১২ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় এ পানির সমতল পুনরায় বৃদ্ধি পেয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। 

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া উপজেলার মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গজঘন্টার মিজানুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আতঙ্কিত।

আরও পড়ুন:- ‘দু-এক মাসের মধ্যেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে’ - দুদু

লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তিস্তার পানি বেড়েছে।  আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, শনিবার সকালে ৫২ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার ছিল। এ সময়ে নদীর পানি বাড়বে আবার কমবে এটাই স্বাভাবিক।