বৃষ্টিতে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় বজ্রপাতে তরুণী আহত

শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে টিকটক ও রিল ভিডিও বানাতে গিয়ে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ওই ভবনের ছাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত মেঘলা আক্তার (২৫) ওই ভবনের নিচতলায় শরীয়তপুর ইসলামী চক্ষু হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শরীয়তপুর ইসলামী চক্ষু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের গাজার বাজার এলাকার সুলতান আহমেদের মেয়ে মেঘলা আক্তার। দুই বছর থেকে তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে বেসরকারি শরীয়তপুর ইসলামী চক্ষু হাসপাতালে কর্মরত।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই মুষলধারে শরীয়তপুরে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সময় দুপুরের দিকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী মেঘলা আক্তার তার আরেক সহকর্মী হাসপাতালের রিসিপশনিস্ট ইয়াসমিন আক্তারকে বৃষ্টিতে ভেজার কথা বলেন।

তখন তারা বৃষ্টিতে ভেজার সময় মেঘলা ইয়াসমিনকে বলেন, তুমি মোবাইল দিয়ে ভিডিও করো আমি গানের সাথে নেচে এটা টিকটক ও ফেসবুক রিল ভিডিওতে দেব। এ সময় ইয়াসমিন ছাদের গ্রিলের দরজার পাশ থেকে ভিডিও শুরুর পর হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে হয়। এ সময় মেঘলা আক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরে ইয়াসমিন চিৎকার-চেঁচামেচি করে নিচে নেমে হাসপাতালের অন্য সহকর্মীদের বললে তারা তাকে (মেঘলাকে) উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ভর্তি করেন।

সহকর্মী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভেজার জন্য আমি আর মেঘলা ছাদে যাই। এরপর মেঘলা আমাকে ভিডিও করতে বলে। আমি ভিডিও চালু করার দুই থেকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে বজ্রপাত হয়। আমার কানে এখনো বজ্রপাতের ওই বিকট শব্দ অনুভব করছি।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রোকসানা বিনতে আকবর বলেন, ‘বজ্রপাতে আহত বেসরকারি হাসপাতালের ওই কর্মীকে দুপুরের দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এখন সুস্থ আছে। যেহেতু বজ্রপাতের বিষয় সেহেতু ২৪ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

হাসপাতালটির পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার দুই স্টাফ বৃষ্টিতে ভিজে ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রপাতে একজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক বলেছেন মেঘলার বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই। তার পরও আমি সবাইকে বলব এখন বৃষ্টির সময়, এই বৃষ্টির সময়ে এ ধরনের ভিডিও এবং বৃষ্টিতে না ভেজাই উত্তম। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’