কয়লা নিয়ে বন্দরে জাহাজ, দ্রুতই চালু হবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩, ০৪:২৬ PM , আপডেট: ২৩ জুন ২০২৩, ০৪:২৬ PM

কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে পড়েছিল পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। তাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনসাধারণ থেকে শুরু করে বড় কলকারখানাগুলোকে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়ে সবাই। তবে কয়লা আসায় আবারও উৎপাদনে ফিরছে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।
আজ শুক্রবার জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। জানা গেছে, আগামী রোববার থেকে কেন্দ্রটি থেকে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট মিলে উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কয়লা না থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন গত ৫ জুন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ডলার-সংকটে বিল বকেয়া থাকায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে দ্রুত কয়লা আনার ব্যবস্থা করা হয়।
বিসিপিসি সূত্র জানায়, আজ ৪০ হাজার টন কয়লা নিয়ে প্রথম জাহাজ এসেছে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজও চলে আসবে।
তিন বছর আগে উৎপাদনে আসে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এরপর এই প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেড়ে যায় লোডশেডিং। এর আগে ডলার-সংকটে কয়লা কিনতে না পেরে দুই দফায় বন্ধ হয়েছিল বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন উৎপাদনে রয়েছে।
গত ১৭ জুন ইন্দোনেশিয়ার বালিক পানান বন্দর থেকে পায়রা বন্দর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে জাহাজটি। ১০ মিটার গভীরতার কয়লানাহী জাহাজটি লম্বায় ২০০ মিটার ও প্রস্থে ৩২ দশমিক ২৬ মিটার।
পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবোঝাই করে ছাড়ার ১০ দিন পর পায়রা বন্দরে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি আথেনা। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে জাহাজটি ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরের ইনার চ্যানেলে অবস্থান করছে। এ কয়লা খালাস করতে আরও ২-৩ দিনের মতো সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৫ জুন পুনরায় চালু হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে প্রথমে একটি ইউনিট চালানো হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে।
বিসিপিসি সূত্র থেকে জানা যায়, ডলার-সংকটে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের কয়লা বিল বকেয়া পড়ে। এ কারণে কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। পরে বকেয়ার ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করে আবার কয়লা সরবরাহ শুরু করতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে রাজি করানো হয়।