রাজধানীর কুরবানীর বাজার
ছোট গরুর চাহিদা বেশি, দামও চড়া
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ০৮:১৮ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ০৮:১৮ PM

ঈদুল আজহায় কোরবানিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। হাটটিতে বিক্রি এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি।
ক্রেতারা এসে গরুর দাম জেনে যাচ্ছেন। অল্প সংখ্যক বিক্রিও হচ্ছে। ব্যাপারীরা বলছেন, অধিকাংশ ক্রেতা এসে ছোট গরু খুঁজছেন। অপরদিকে হাট ঘুরে ক্রেতারা বলছেন, ছোট গরুর দাম গত বছরের চেয়ে চড়া।
ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ ক্রেতা চাচ্ছেন সাধ্যের মধ্যে একটি গরু কিনতে। তাদের পক্ষে ১৫ লাখ টাকায় গরু কেনা সম্ভব নয়। তারা সর্বোচ্চ দেড় লাখের মধ্যে গরু কিনতে চান। এতে ছোট গরুর চাহিদা বাড়ে।
চাহিদা বাড়ায় ব্যাপারী যে গরু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে মনস্থির করেছিলেন, তা তিনি এক লাখের বেশি দাম চান। এতে ওজনভেদে বড় গরুর দামের সঙ্গে তুলনা করলে ছোট গরুর দাম চড়া বিবেচনা করা হয়।
মোহাম্মাদপুর থেকে গরু কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা পরিবারের সবাই মিলে কোরবানি দেই। এবার বাজেট ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। আজ দেখতে আসছি। এখানে ছোট গরুর দাম এবার অনেক বেশি। গত বার ৯০ হাজার টাকা দিয়ে যেই গরু কিনেছি, এবার ওই আকারের গরুর দাম চাচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।’
শ্যামলী থেকে আসা আরেক ক্রেতা গণি হক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় গরু কিনে ফিরছিলেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার গরুর দাম বেশি ভাই। গত ঈদে এ গরুর দাম ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি হতো না। এবার হাট ঘুরে বুঝলাম ছোট গরু দাম ৩০-৩৫ হাজার টাকা বেশি। কাল-পরশু হয়তো বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। একটু বেশি দাম হলেও আজ ঝামেলাবিহীন গরু কিনলাম।’
ব্যাপারীরা বলছেন, খাদ্যের দাম অনুপাতে গরুর দাম বাড়েনি। গতবারের তুলনায় লাভও কম হওয়ার আশঙ্কায় তারা।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে ছয়টি ছোট আকারের গরু গাবতলীর হাটে নিয়ে আসেন আফজাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘গত বারের দামের সঙ্গে এবারের দাম মেলালে হবে না। এক বছর আগেও ভুসির কেজি ছিল ২০-৩০ টাকা, এখন ৬০-৬৫ টাকা। একটা গরু দিনে তিন কেজি ভুসি খায়।’
পাবনা থেকে আসা আখতার হোসেন নামের গরু ব্যাপারী বলেন, ‘এক বছরের ব্যবধানে গরুর সব ধরনের খাবারের দাম দ্বিগুণ বাড়ছে। কিন্তু গরুর দাম তত বাড়েনি। নয়তো এক লাখ টাকার গরুর দাম দুই লাখ হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর আনুমানিক ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা মণ ধরে আমরা বিক্রি করেছিলাম। এবার ৩৩ থেকে ৩৪ হাজার টাকা মণ ধরে গরুর দাম চাচ্ছি। খাবারের দাম যে হারে বাড়ছে, সেখানে এটা খুব বেশি না।’
সিরাজগঞ্জ থেকে ‘কালো পাহাড়’ নামের বড় আকারের একটি গরু নিয়ে এসেছেন আকতার হোসেন। দুই দিন আগেও দাম চাচ্ছিলেন ১০ লাখ টাকা। শনিবার আট লাখেই বিক্রি করবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘এবার হাটে ছোট গরুর দাম বাড়লেও বড় গরুর দাম তেমন উঠছে না। এবার বড় গরু ব্যাপারীরা লস খাবে। ছোট গরু যে দামের খাবার খায়, বড় গরুও সেই দামের খাবার খায়। ছোট গরুর ব্যাপারীরা এক লাখ টাকার বদলে ১ লাখ ৩০ হাজারে বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু বড় গরু ব্যাপারীরা ১০ লাখের গরু ১৫ লাখ চাইতে পারবে না। অথচ আমাদের গরুর পেছনে খরচ বেশি।’