প্রতিশোধ নিলে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব থাকতো না’

প্রধানমন্ত্রী
  © ফাইল ছবি

দেশের অগ্রযাত্রায় কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাবা-মা, ভাইদের হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও জানান।

আজ রোববার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কাছে রাজনীতি বলে কিছু নেই, ক্ষমতা হচ্ছে তাদের কাছে অর্থ বানানোর মেশিন।

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলবে এবং দেশের সর্বনাশ করবে।

‘বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংগঠনের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে কথা বলার। বিএনপি ঘেউ ঘেউ করলেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং মানুষের কাছে বিএনপির অনিয়মের তথ্য তুলে ধরতে হবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা বেশি দিন টেকে না। সত্যের জয় হবেই। বিএনপি জাতির পিতার নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু আজ তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে-বিদেশে সর্বত্র।

পদ্মা সেতু নির্মাণে অনেকে বাধা দিলেও বাংলাদেশের মানুষ তাকে সমর্থন দিয়েছে। জনগণকে নিজের শক্তি বলে পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ পারে।

যুব সমাজকে পড়াশোনার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেই নিজের বস হতে হবে। চাকরি দিতে হবে অন্যকে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশোধ নেয়নি। প্রতিশোধ নিলে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব থাকতো না।

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী রূপ মানুষ দেখেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থ পাচার, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, ভুয়া ভোটার তালিকা করাসহ সব অপকর্ম করে গেছে। এছাড়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই তাদের তাণ্ডব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ।

নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারাদেশের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকারও নির্দেশ দেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।