২৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি বঙ্গোপসাগরের সেই জাহাজ

জাহাজ
  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে কাত হওয়া কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ গত ২৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ জাহাজটির উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, সে বিষয়েও কিছুই বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ জাহাজটি ভাড়ায় পরিচালনা করছে সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সি।

তবে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মো. তামিম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। জাহাজটির কিছু অংশ কাত হয়েছে। এটি এখনও একই অবস্থানে আছে। উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভাসানচরের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নিয়ে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে যাচ্ছিল জাহাজটি।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় জাহাজের তিনটি কনটেইনার পানিতে ভেসে গেছে। তবে নাবিকদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে জাহাজটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ।

মো. ওমর ফারুক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে পানগাঁও এক্সপ্রেসের কিছু অংশ ডুবে গেছে। বন্দর থেকে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে যাওয়ার পথে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এখন এটি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় আছে। ১২ জন নাবিক ও বিআইডব্লিউটিএ’র দুজন প্রতিনিধিসহ ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে ৯৬টি কনটেইনার আছে। এরমধ্যে তিনটি পানিতে ভেসে গেছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর চার্টারারের নিযুক্ত একটি টেকনিক্যাল টিম (ডলফিন মেরিন) জাহাজের পানি ও কনটেইনার অপসারণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বন্দরের টাগবোট কান্ডারি-১০-সহ ভাড়া করা একটি টাগবোট দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হলেও উদ্ধারে সফল হয়নি। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। পরিচালনাকারী সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিকে জাহাজটিকে দ্রুত উদ্ধার করা জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে নৌ-বাণিজ্য অফিসের ইঞ্জিনিয়ার সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ও বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোস্তাহিদুল ইসলামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি দল রয়েছে। তারা উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজটির মালিক বন্দর কর্তৃপক্ষ। এটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছে সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ-টার্মিনালে যাতায়াত করছিল।