কুড়িগ্রামে পানি বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপরে, চরাঞ্চল প্লাবিত
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০২:৩৪ PM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০২:৪৭ PM

উজানের ঢল আর বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চরাঞ্চল ছাপিয়ে পানি এখন অপেক্ষাকৃত উচু স্থানে প্রবেশ করছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানায়, সকাল ৬টায় দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার এবং সদর পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনি ও রোববার নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তি চরাঞ্চল ও নিম্নাচঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলের খেত। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে দুধকুমার নদীর অববাহিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকডাঙ্গা, ইসলামপুর, চর শতীপুরি, নাগেশ্বরী উপজেলার চর বিষ্ণুপুর, চর লুছনী, ফান্দের চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চেলের অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামের ১৫টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আগামী ৬দিন পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্ততি নিয়েছেন তারা। ভারতের গজলডোবায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। নদীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বড় বন্যা দেখা দিলে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। তিস্তা ছাড়াও ধরলা ও দুধকুমার, বুড়ি তিস্তা, সানিয়াজান নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলেও শঙ্কা জানান তিনি।