হিরো আলমকে নিয়ে টুইট করায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন (হিরো আলম)-কে নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েটকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে তাকে তলব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম। এ সময় অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘ যেন প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে- সরকারের পক্ষ থেকে এমন প্রত্যাশার কথাও জানানো হয়।

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বাংলাদেশে না থাকায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শেলডন ইয়েটকে তলবের বিষয়টি দৈনিক প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, "আমাদের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।" তবে কোন বার্তা জাতিসংঘের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানায়, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে গোয়েন লুইসের টুইট ভালোভাবে নেয়নি সরকার। বিশেষ করে নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যখন বাংলাদেশকে নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা হচ্ছে, তখন উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র একজন প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশ্যে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো নাক গলানোর শামিল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন। ওই টুইটে তিনি বলেন, "নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যে মৌলিক মানবাধিকার, তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।"

বিভিন্ন বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তলবের বিষয়টি কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ আগেও নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের তলব করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের কোনো প্রতিনিধিকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশের নজির নেই।

সূত্র: ডয়চে ভেলে