তাজিয়া মিছিলে তরবারি, বর্ষা, আতশবাজি ব্যবহারে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৮:১২ PM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৮:১২ PM

পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আশুরায় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এসব মিছিলে পাইক দলভুক্ত ব্যক্তিরা দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি নিয়ে অংশগ্রহণ করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। যা ধর্মপ্রাণ ও নগরবাসীর মনে আতংক ও ভীতিসৃষ্টিসহ জননিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। তাছাড়া মহররম মাসে পবিত্র আশুরায় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়, যা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
উল্লেখ্য, কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয়বিদারক ঘটনাবহুল’ এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নানা-কর্মসূচির মাধ্যমে পবিত্র আশুরা পালিত হয়।
হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্য এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
মর্মস্পর্শী এ ঘটনা স্মরণ করে প্রতি-হিজরি সনের ১০ মহররম বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শোকাবহ দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।
কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়। পবিত্র আশুরা মানেই শোকের মাতম। ধর্মপ্রাণ মুসলমান তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে তাদের হৃদয়-নিংড়ানো শোকের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।