আগামী নির্বাচনে আ.লীগের স্লোগান হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
  © সংগৃৃহীত

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্লোগান হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এর সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ায় দেশের সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। এবার সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তর করা।

আওয়ামী লীগ সরকার স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট- এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।

এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেওয়া বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। বলেন, ‘দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবস্থা করেছি।’

আরও পড়ুন:- আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন দূত পিটার হাস

ডিজিটাল পেমেন্টের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বিল অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এখন এর সুফল ভোগ করছে জনগণ।’

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অর্থাৎ এই যে ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারে এখন থেকে তৈরি করতে হবে আমাদের দেশের মানুষকে।

তিনি বলেন, মানুষের ভেতরের সৃজনশীলতা, তাদের চিন্তা ভাবনা, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ভাবনাগুলো বের করে এনে, কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা সব কিছুতেই সেগুলো কাজে লাগাতে হবে।

আরও পড়ুন:- নির্বাচনী গুজব-অপপ্রচার বন্ধে ইসিকে সহায়তা করবে ফেসবুক

নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, নিউ জেনারেশনকে সেভাবে তৈরি করতে হবে, শিক্ষায়-দীক্ষায়, প্রযুক্তিতে।  

এসময় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’কে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসের ফলে আমাদের নতুন নতুন দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে। তবে সেই সঙ্গে সেসব কাজের জন্য উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং (ডিজিটাল ডিভাইস, তথ্য প্রযুক্তি) ব্যবহারটা আরও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য করণীয়গুলো ঠিক করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি হিসেবে ধাপে ধাপে আমরা কী কী কাজ করবো সেগুলো এখনই ঠিক করতে হবে।

জনশক্তিই হচ্ছে আমাদের একটা বড় শক্তি। জনশক্তিকে সেভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে বলেও জানান তিনি। পাশপাশি বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনা ও দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র থাকবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধ-জীবন যাপন করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কত পিছিয়ে ছিলাম, আমরা তো ৯৬ সালে সরকারে এসেছি তখন সারা বিশ্বে সবাই ইন্টারনেট, কম্পিউটার ব্যবহার করে, আমরা তখন পিছিয়ে ছিলাম। সেই জায়গা থেকে আমরা আজকে এত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি, এখন অনেক উন্নত দেশও আমাদের থেকে পিছিয়ে।

সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে উদ্ভাবনী শক্তিগুলোকে বিকশিত করে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।