অবশেষে আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার স্বপ্ন পুরণ হচ্ছে আরাফাতের

আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার স্বপ্নটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মাত্র একধাপ পিছনে ছিলেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত। কিন্তু তার কর্মস্থলের কারণে সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অবশেষে আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার ছাড়পত্র (এনওসি-অনাপত্তিপত্র) পেয়েছেন আরাফাত। 

এই অ্যাথলেট তার কর্মস্থল বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে দীর্ঘ জটিলতার পর শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন। দেশের সর্বোচ্চ ব্যাংকে উপপরিচালক পদে কর্মরত আছেন তিনি। এর ফলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে আর কোন বাধা রইলো না এই ট্রায়াথলেটের।

বুধবার (৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন আরাফাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেওয়া অনুমতিপত্রের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, চির কৃতজ্ঞ সবার প্রতি। আমার ব্যাংক আমার শক্তি হবে, বাংলাদেশের পতাকা উড়বে ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠির ভাষ্য অনুযায়ী, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি এবং মালেশিয়ায় চারটি ভিন্ন ভিন্ন টুর্নামেন্টের জন্য আগামী ১৫ আগস্ট থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন আরাফাত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আরাফাত একজন বাংলাদেশি ট্রায়াথলেট। তিনিই প্রথম বাঙালি যিনি ২০২১ সালে আয়রনম্যান ৭০.৩ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতাটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছিলেন তিনি।

এরপর মালয়েশিয়া, ভারতসহ কয়েকটি দেশে কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন আরাফাত। তিনবার আয়রনম্যান ফিনিশার হওয়ার জন্য আয়রনম্যান অল ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেট-২০২০ থেকে অল ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেট—সিলভার মেডেল পেয়েছিলেন তিনি।

চলতি বছরে আয়রনম্যানের আরও দুটি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন এই বাংলাদেশি অ্যাথলেট। কিন্তু এরপরেই জটিলতার শুরু হয়। বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে আটকে দেয়া হয় তার ছাড়পত্র।

এমনকি আরাফাতকে ছাড়পত্র দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সরকারি আদেশও জারি হয়। এরপরেও আটকে ছিল তার অনুমতি পাবার প্রক্রিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার অনুমতি পেলেন এই ট্রায়াথলেট।