সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরানো মদ নয়: আইনমন্ত্রী

সাইবার নিরাপত্তা আইন
  © ইউএনবি

সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরানো মদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, “কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলছে, এটা ঠিক নয়। যেমন: আগে ২৯ ধারায় মানহানিতে জেল ছিল, এটা এখন নেই। ২১ ধারায় জেল ছিল ১০ বছর, এখন এটা কমে ৭ বছর হয়েছে। তাহলে এটা কি নতুন নয়?”

বৃহস্পতিবার (১০ অগাস্ট) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

আইনমন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সবসময় ২৫ লাখ টাকা হবে। অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ আদালত জরিমানা করবেন, আইনে এটা বলা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে সব ধারায় জামিনযোগ্য করেছি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অধিকাংশ ছিল জামিন অযোগ্য”।

তিনি বলেন, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব অপপ্রয়োগ হয়েছে সেগুলো থাকবে না। ফলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংবাদ মাধ্যমের আর কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা আইনে হ্যাকিং, অর্থ ও ডেটা চুরি, প্রপাগান্ডা, সাইবার বুলিংয়ের মতো ঘটনাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ডেটা সুরক্ষা আইনে ডেটা ব্রিজ হলে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দিতে হলে ডেটা নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে”।

পলক বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে বিনিয়োগের আগে জানতে চায় ডেটা নিরাপত্তা আইন আছে কি-না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন দেশ বহু আগেই আলাদা ডেটা সুরক্ষা আইন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মতামত চাওয়ার পর অনেকেই মতামত দিচ্ছেন, তা আমলে নিয়েই পর্যালোচনা করছি। যে কেউ এই আইনের বিষয়ে মতামত দিতে পারবেন”।