আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-মিটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা আপিল বিভাগের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫৫ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫৫ PM
‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ দুইজন বিচারপতির এমন বক্তব্যকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল দেশের উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ। নানান কর্মসূচির মাধ্যমে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করছেন আইনজীবীরা। এই পরিস্থিতে এবার আদালত এলাকায় আইনজীবীদের সব ধরনের মিছিল-মিটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিলে সেইসব আইনজীবীরা কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ২০০৫ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনের দেয়া রায়ের গাইডলাইন অনুসরণের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজ থেকে যদি কেউ কোর্টে মিছিল-মিটিং করে তাহলে তিনি আদালত অবমাননার অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং সেইসব আইনজীবীরা কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না।
এর আগে সকালে বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতাদের আদালত অবমাননার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর ১৯ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে বলে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতি এই দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের (১৫ বিএলটি) স্বতঃপ্রণোদিত রায়ের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতেও বলা হয়।
এদিকে, আদালত অবমাননার শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের প্রবেশ মুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তার আগে গতকাল আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির ৭ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। এদিকে আজও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
উল্লেখ্য, আদালত বয়কট কিংবা বিচারকের কাজে বাধা প্রদানের মতো যেকোনও কর্মকাণ্ডকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সারা দেশের সব আইনজীবীর ওপর ২০০৫ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট বিভাগ। বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ২০০৫ সালের ২৩ মে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন (সূত্র:15 BLT, 2007, 66)। আইনজীবীরা বলছেন, হাইকোর্টের ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।