দাবি আহত ছাত্রলীগ নেতার

অন্যের বউয়ের সাথে আড্ডার সময় ধরা পড়েন এডিসি হারুন

হারুন
  © ফাইল ছবি

অন্যের বউয়ের সাথে আড্ডা সময় ধরা পড়ে গত শনিবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে নির্মমভাবে পেটায় পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। 

ভুক্তভোগী শরীফ আহমেদ মুনীম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি, নাঈম ও আমাদের এক বড়ভাই সরকারি কর্মকর্তা বারডেম হাসপাতালে গিয়ে দেখি, এডিসি হারুন এবং আমাদের সঙ্গের বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে একটি কক্ষে গল্প করছেন। পরে জানছি তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এ ঘটনায় ওই বড় ভাইয়ের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর এডিসি হারুন ফোন করে থানা থেকে ফোর্স নিয়ে আসেন।’ 

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আজ দুপুরের পর সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক তাঁর এলাকার বড় ভাই। তাঁদের বাড়ি গাজীপুরে। আজিজুল শনিবার সন্ধ্যায় ফোন করে তাঁকে ঢাকার শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে যেতে বলেন। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে যান।’

আনোয়ার বলেন, ‘বড় ভাই বারডেম জেনারেল হাসপাতালে আছেন জেনে সেখানে ছুটে যাই। হাসপাতালের চারতলায় গিয়ে দেখি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক ও পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হচ্ছে। আমিসহ ছাত্রলীগের আরও দুই নেতা মিলে তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি।’

মুনীম বলেন, ‘ নাঈম ভাইসহ আমাকে শাহবাগ থানার আনা হয়। পরে পরিদর্শকের কক্ষে এসআই ও কনস্টেবলরা আমাদের মারধর করেন। আমাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও মারধর করে। আমি পড়ে আছি দেখে তারা ভয় পেয়ে যায়, তাই আর মারেনি। নাঈম ভাইকে রাস্তায় মারেনি। কক্ষে এনে এডিসি হারুন প্রথমে তাকে দুটো চড় দেন। এরপর এসআই কনস্টেবলদের মারতে নির্দেশ দেন। ওরা প্রচণ্ড মারধর করেন। একপর্যায়ে তার দাঁতের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বুট দিয়ে পাড়ায়ে এবং বেয়নেট দিয়ে সাত-আট একটানা মিনিট মারে।’

এ ঘটনার পর আজ সকালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। আজ সকালে তাকে প্রথমে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয় । এরপর নতুন প্রজ্ঞাপনে তাকে এপিবিএন-এ বদলি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নাঈম ও শরীফ আহম্মেদ মুনীমকে শাহবাগ থানা মারধরের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এডিসি হারুনের বিচারের দাবি করেছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


মন্তব্য