আমরা নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করেছি, জনগণের জন্য আজ গর্বের দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
  © সংগৃৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করেছি। জনগণের জন্য আজ গর্বের ও আনন্দের দিন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ সফল পরিণতি লাভ করেছে’।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান তথা ফ্রেশ ফুয়েল বা নিউক্লিয়ার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আইএইএ'র ডিজি রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসিও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা সম্পূর্ণ করতে না পারলেও রাশিয়া সরকারের সহযোগিতায় আমরা তা নির্মাণ করতে পারছি। ১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন জ্বালানি নীতিতে পারমাণবিক বিদ্যুতের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে এ বিদ্যুৎ প্রকল্পটি গ্রহণ করি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে রাশিয়া এগিয়ে আসে। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা সহায়তা করে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাই। রুশ সরকারের সহযোগিতায় এ প্রকল্পের কাজ বহুদূর এগিয়ে গেছে। বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এ প্রকল্পের নির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে’। 

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আজ এই প্রকল্পে জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম যুক্ত হলো। প্রকল্পটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশি জনবলকে রাশিয়া সহযোগিতা করেছে।

২০২৪ সালে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং ২০২৬ সালের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে। রূপপুর একটি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যাতে মানুষের ক্ষতি না হয় প্রকল্পটি সেভাবেই নকশা করা হয়েছে’।