ট্রেনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গায় বাসের চেয়ে বেশি ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৪ PM , আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০০ PM

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রেলপথ চালু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।
রেল কর্তৃপক্ষের বিশ্লেষণে এসেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নন-এসি বাসের ভাড়া ২৫০ টাকা। আর এসি বাসের ভাড়া ৫০০ টাকা।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে অন্তনগর ট্রেন (নন-এসি) ৩৫০ টাকা। আর এসি চেয়ারে গেলে ৬৬৭ টাকা।
প্রস্তাবটি রেল মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। রেলওয়ে সূত্র বলছে, প্রস্তাবিত ভাড়া হারই অনুমোদিত হতে পারে। এমনটা হলে বাসের চেয়ে এই পথে ট্রেনের যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হবে।
আরও পড়ুন:- ৬.১৫ কিমির পদ্মা সেতু, ‘ভাড়ায় দৈর্ঘ্য’ ১৫৪ কিলোমিটার!
রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এই রেলপথে আগামী নভেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। শুরুতে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে তিনটি ট্রেন চলাচল করতে পারে।
যেভাবে ভাড়া নির্ধারিত হবে
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ধরা হয়েছে। একে রেলওয়ে পন্টেজ চার্জের জন্য বাড়তি দূরত্ব বলছে। আর গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ধরা হয়েছে ৫ কিলোমিটার। এ জন্যই ঢাকা থেকে ভাঙ্গার প্রকৃত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার হলেও রেলওয়ে আদায় করতে চায় ৩৫৩ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া।
বর্তমানে রেলে কিলোমিটারপ্রতি এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা। নন-এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা।
দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তনগর—এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভাড়াহার কিছুটা কম-বেশি আছে।
এ ছাড়া আন্তনগর ট্রেনেও বিভিন্ন শ্রেণি রয়েছে। এগুলো হলো শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এসি সিট ও এসি বার্থ (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন)।
লোকাল ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। আন্তনগরে তা ৩৫ টাকা। তবে সেতু ও উড়ালপথ থাকলে সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়ে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর ওপারের পদ্মা স্টেশনের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এই দূরত্বে শোভন চেয়ারের প্রস্তাবিত ভাড়া ৩৩০ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৩৩ টাকা। এসি সিটের ভাড়া ৭৫৯ টাকা।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, এখন ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে খুলনা রুটের ট্রেনগুলো চলাচল করে। এই রুটের ট্রেনগুলোকে অনেকটা পথ ঘুরতে হয়। কিন্তু পদ্মা সেতু হয়ে চললে ঘুরতে হবে কম। ফলে যশোর ও খুলনার যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে সময় কম লাগবে, ভাড়াও বাড়বে না। তবে মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ বা নড়াইল যেতে হলে বেশি ভাড়া গুনতে হবে। একইভাবে মালামাল পরিবহনের ভাড়াও বাড়বে।