কক্সবাজার  ও কুয়াকাটা সৈকতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি দেখতে মানুষের ঢল

কক্সবাজার
  © সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র দেখতে শত শত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল ও কুয়াকাটা সমুদ্র উপকূলে । শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে সমুদ্রে গোসলসহ আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন আগতরা। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে সতর্কতার মাইকিং করা হলেও তা কর্ণপাত করছেন না তারা।

এদিকে,ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে দেখানো হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত। এজন্য সমুদ্র স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা উত্তাল। তবে এর মধ্যেও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘোরাঘুরি করছেন পর্যটকরা। যদিও পর্যটকদের সৈকতে নামতে দিচ্ছে না টুরিস্ট পুলিশ। উপকূলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি জামায়াতের ডাকা হরতাল ও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের মধ্যে কিছু সংখ্যক পর্যটক পরিবার পরিজন নিয়ে মিধিলির প্রভাব উপভোগ করার জন্য এসেছেন।

অপরদিকে, ক্রমেই কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে দমকা ঝোড়ো বাতাস। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করেছে। টানানো হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় সংকেত পতাকা। প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। আবহাওয়া অধিদফতর ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও স্থানীয় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়নি। উপকূলের বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারীদের মাঝে এ নিয়ে তেমন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা যায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দেশনা মানছেন না উৎসুক জনতা। পাত্তা দিচ্ছেন না বিচ কর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশকে। উল্টো তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন উৎসুক জনতার অনেকেই। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালে সাড়ে ৯টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়।

৯ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


মন্তব্য