যেদিন থেকে চলবে মোটরসাইকেল 

মোটরসাইকেল
  © ফাইল ছবি

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গেল ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে না।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মোটরসাইকেলে চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এর আগে ভোটের সময় মোটরসাইকেলের পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহন চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানালেও, আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, ভোটের দিনও গণপরিবহন, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা চলাচল করবে।

তিনি আরো জানায়, এবার নির্বাচন কমিশনারের মতামত নিয়ে যানবাহন চলাচলের ওপর কঠোরতা শিথিল করা হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে গেলে তার একটি যানবাহন প্রয়োজন হয়। যে সমস্ত যানবাহনগুলো মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার হয় সেগুলোর চলাচলের বৈধতা দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত সার্কুলারও দ্রুত পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেছিলেন, নির্বাচনের দিন প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অটোরিকশা চলবে। তবে মাইক্রোবাস, স্পিডবোট ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এটি আমাদের নির্বাচন কমিশনের মতামতের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। 

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এক পরিপত্রে এসব তথ্য জানানো হয় সম্প্রতি। এতে আরও জানানো হয়, এসব নিষেধাজ্ঞা কিছু ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে:

(ক) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক;

(খ) জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সকল ধরনের যানবাহন;

(গ) আত্মীয়-স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর হতে যাত্রী বা আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহন;

(ঘ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য ১টি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্ট (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) এর জন্য ১টি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান;

(ঙ) সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান;

(চ) নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটর সাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান;

(ছ) জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বাহির বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা উক্তরূপ সকল রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন;

(জ) এছাড়া স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ কর্তৃক কতিপয় যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা শিথিল করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

এসব যানবাহন চলাচলের ওপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা শিথিলের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে বলবৎ করার জন্য এবং প্রয়োজনবোধে জনসাধারণের অবগতির জন্য ট্রাফিক সাইন প্রদর্শনের নিমিত্ত জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।