ভুল চিকিৎসা-চিকিৎসায় অবহেলা ধরা পড়লে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী
  © ফাইল ছবি

চিকিৎসায় অবহেলা ধরা পড়লে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ভুল চিকিৎসার প্রমাণ পাওয়া গেলে অথবা চিকিৎসায় অবহেলা ধরা পড়লে প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসা চালাতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। 

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মানুষের কষ্ট আমি কাছ থেকে দেখেছি। আমি কিছু ভুলব না। প্রত্যেক রোগী যেন বেডে (শয্যা) থেকে চিকিৎসা নিতে পারে তার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব। সকলে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে এটা সম্ভব।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি নিজেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের ভুক্তভোগী। সুতরাং আমি কখনই এ বিষয়ে ছাড় দেবো না। আপনারা জানেন, এরই মধ্যে আমি বলেছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে। তেমনি অনুমোদনবিহীন হাসপাতালের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়া হবে না।'

এ সময় শিশু আয়ানের মৃত্যুর বিষয় উল্লেখ করি তিনি বলেন, 'শিশু আয়ানের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যতটুকু জানি, আগামীকালই আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবে। চিকিৎসায় যদি কোনো অবহেলা থাকে, তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।'

এর আগে আয়ান হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিসহ চার দফা দাবি নিয়ে সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ ও তার পরিবার। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আয়ানের বাবা আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'করোনা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।'

করোনার নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধে এ বছর এক কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আর দুই বছরে আড়াই কোটি মানুষকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?’ উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক প্রত্যাশা। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’