রমজানে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ আছে; সুযোগ নিলে ব্যবস্থা: অর্থমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৪ PM , আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৪ PM

নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রমজানে যেসব পণ্যের প্রয়োজন হয় দেশে সেসব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। রমজানের পণ্যের কোনো সংকট নেই। তবে কেউ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ রবিবার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রমজান আসছে। আমরা দেখলাম লেটেস্ট কারেন্ট সিচুয়েশিন। কোনো পণ্যের শর্টেজ নেই। রজমানের সময় যেসব আইটেম লাগে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। শর্টেজেরও কোনো কারণ নেই। কিছু মহল চেষ্টা করে কীভাবে সিচুয়েশনকে ডিস্ট্যাবলাইজ করা যায়। যেখানে মার্কেট ইকোনমি অপারেট করছে সেখানে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, যেভাবে প্রাইস লেভেলকে ধরে রাখা যায় সেই কাজগুলোই সরকার করছে। আমরা মনে করি চিন্তার কোনো কারণ নেই। দরকার হলে আমরা অনেক কঠোর পদক্ষেপের দিকে চলে যাব। দরকার হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাব, কাউকে ছাড় দেব না।
এখনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না। এখনো হয়নি।
তাহলে জরুরি বৈঠকের কারণ কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরে ন্যাচারালি সবাই তো বলছে কি করছেন, কি করলেন?
আপনাদের টার্গেট কি শুধু রমজান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু রমজান না, রমজান নিয়ে চিন্তা তো আছে মানুষের মধ্যে সেজন্য।
চালের দাম বাড়ানোর পর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে, এটি জানানোর পর অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আলোচনা করছি, দেখছি। দেখেন আপনারা। ইতিমধ্যে দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীরা এখন ট্রাক নিয়ে ক্ষেত থেকে আলু তুলছে। তাদের লাভ হচ্ছে। বাজারে মনোপলি হচ্ছে, সেখানে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অ্যাকশনে তো যাচ্ছি।
পণ্যের দাম কতদিনের মধ্যে কমবে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেভাবে এটা কখনোই বলা সম্ভব না।
আমদানিকে প্রাধান্য দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দরকার হলে আমদানি করতে হবে, এখনো তো এ রকম কিছু হয়নি।
রিজার্ভ বাড়াতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখছেন আমাদের যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স তাদের সঙ্গে মাল্টি কারেন্সি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করছি। শুধু ডলার দিয়ে তো আমরা করছি না।
বেসরকারি খাত সংকটের মধ্যে আছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কি চলতে পারছে, আপনি কি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টর তো প্রাইভেট সেক্টর। সরকারের প্রণোদনা ছাড়া আর মাল্টিপল অ্যাপ্রোচ ছাড়া তো অন্য কিছু করা যায় না। তবে ব্রড সেক্টরগুলো তো আন্ডার কন্ট্রোলড আছে।