চীনের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চায় বাংলাদেশ; কারণ যা জানা গেলো

তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ফোর-জি সেবা সম্প্রসারণ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের কাছে বাংলাদেশ এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায়।

সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাথে বৈঠকের পর বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘গত ১০ বছরে আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি চীনের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায়।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সেখানে আমরা ছয়টি প্রজেক্ট ইআরডির মাধ্যমে চাইনিজ সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। মডার্নাইজেশন অব আরবান অ্যান্ড রুরাল লাইফ নামে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প।’

টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর একটি আছে টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং আমাদের বিটিসিএল টেলিফোন শিল্প সংস্থা এবং কম্পিউটার কাউন্সিলের আরো প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট চেয়ে ছয়টি প্রজেক্ট আমরা জমা দিয়েছি।’

আগামী পাঁচ বছরে সরকারি বিনিয়োগ পাওয়ার আশাবাদ জানিয়ে পলক বলেন, ‘সেই ক্ষেত্রগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। রাষ্ট্রদূত আমাকে কথা দিয়েছেন তিনি তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের পাশে আগামী পাঁচ বছর থাকবেন। যাতে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের একটি শক্ত ভিত্তি এই পাঁচ বছরে আমরা তৈরি করতে পারি।’

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছয়টা প্রজেক্টে গত ১০ বছরে এক বিলিয়ন ডলার আমরা চাইনিজ লাইন অব ক্রেডিট থেকে ব্যবহার করেছি। সেখান থেকে আয় করে আমরা এখন ঋণটা ফেরতও দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইনিজ সরকার, চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এবং চাইনিজ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির বিনিয়োগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। আমরা বাংলাদেশ-চায়না ইনভেস্টমেন্ট সামিট করব। সেটার ব্যাপারেও কথা হয়েছে।

জনাব পলক বলেন, ‘আমরা একটা স্মার্ট ইকোনোমি এবং ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজিক এমওইউ করব। সেখানে আমাদের চারটি লক্ষ্য আছে- রফতানি আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন। এই চারটি এরিয়াতে বাংলাদেশ ও চীন একসাথে কাজ করবে।’

সূত্র : ইউএনবি