গুলিস্তানে যানজট কমাতে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ

গুলিস্তান
  © ফাইল ছবি

রাজধানীর ব্যস্ততম জায়গা গুলিস্তান। এলাকাটিতে প্রায় সবসময়ই তীব্র যানজট লেগে থাকে। এবার এই যনজট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিলো কর্তৃপক্ষ। এলাকাটিতে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও অযান্ত্রিক যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় ৫০ জন কমিউনিটি পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। 

গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গুলিস্তানের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উদ্যোগে সচেতনতামূলক সভা চলাকালে এসব কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এদিন দুপুরে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের উম্মুক্ত প্রাঙ্গণে ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসানের সভাপতিত্বে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ওই সভা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে নতুন কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশরা গুলিস্তানে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে ট্রাফিক পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তারা দিনে দুই পর্বে দায়িত্ব পালন করবেন ও তাদের প্রত্যেককে ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের পক্ষ থেকে একটি করে কমলা রঙের কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ লেখা জ্যাকেট ও বাঁশি দেওয়া হয়।

যানজট কমাতে সভায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; সেগুলো হলো-

১. এই এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি রাখা যাবে না।

২. কোনোক্রমে বাম লেন বন্ধ করা যাবে না।

৩. যাত্রী না থাকলে গাড়ি এক লেনেও রাখা যাবে না; গাড়ির চাকা ঘূর্ণায়মান থাকতে হবে যাতে পিছনে যানজট না সৃষ্টি হয়।

৪. ফ্লাইওভার ল্যান্ডিংয়ে যাত্রী উঠানো বা নামানোর জন্য গাড়ি কোনোভাবেই থামানো যাবে না।

৫. কোনোক্রমেই গাড়ি ডাবল লেন করা যাবে না।

৬. গাড়ি চালানোর সময় অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে কাউকে দুর্ঘটনায় ফেলা যাবে না।

৭. কোথাও এমনভাবে গাড়ি রাখা যাবে না, যাতে ওই গাড়ির জন্য অন্য গাড়ির চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

৮. উল্টো দিক দিয়ে কোনো রিকশা চলাচল করবে না।

৯. কারো সঙ্গে কোনো ধরণের অপেশাদার কিংবা খারাপ আচরন করা যাবে না।


মন্তব্য