গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসিজের রায়কে স্বাগত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজা
  © ফাইল ছবি

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ২৬ হাজার ২৫৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন। ইসরায়েলি নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুনানি শেষে আজ শনিবার গাজায় গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেয় আইসিজে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে যে রায় দিয়েছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই।’

তিনি বলেন, ‘এ রায়কে আমরা ইতোমধ্যে সমর্থন জানিয়েছি। আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে- সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এ রায় সহায়ক হবে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কূটনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আমরা আশা করি, ইসরায়েল আইসিজের রায় মেনে চলবে এবং গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।’

আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ’র ভাইস-চেয়ার লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ৪ জন এমপিসহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসেজের রায় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওসব কথা বলেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, ১০ বছর আগে যখন ঢাকায় এসেছিলাম, তখন ট্র্যাফিক জ্যাম পোহাতে হয়েছিল। আজ বিমানবন্দর থেকে খুব সহজেই এখানে চলে আসতে পেরেছি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কারণেই সম্ভব হয়েছে।

হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দেশটি বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ রয়েছে ইউকে'র। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ এমপিবৃন্দ সফরে এসেছেন। এ দেশের সংসদের সাথে ইউকে সংসদের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধিও এই সফরের উদ্দেশ্য।