যখন থেকে চলবে ঢাকা–কক্সবাজারে ‘বিশেষ ট্রেন’

ঢাকা–কক্সবাজার রেলপথে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে পাঁচদিন ‘বিশেষ ট্রেন’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই রুটে যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত থেকে চালু হতে যাচ্ছে এই ট্রেন। কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা পরিবার–পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন। পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়ে ছুটির দিনে হোটেল-মোটেলে ঠাঁই মিলছে না তাঁদের। এ ছাড়া অতিরিক্ত পর্যটক হওয়ায় ট্রেনে চাপ বেড়ে গেছে। তাই কক্সবাজার-ঢাকা রেল রুটে বাড়তি পাঁচদিনের ‘বিশেষ ট্রেন’ চালানোর কথা ভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘২০ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ৭ মার্চ বিশেষ ট্রেনটি রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ছাড়বে এবং কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৮টায়। একইভাবে ট্রেনটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চ কক্সবাজার থেকে ছাড়বে এবং ঢাকায় পৌঁছাবে পরদিন ভোর ৪টায়।’

মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীর দেওয়া তথ্যমতে, বিশেষ ট্রেনটিতে ১৪টি কোচ রয়েছে। আছে ৪৫০টি শোভন চেয়ার ও ২২০টি এসি চেয়ার। টিকিটের মূল্য ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেসে’র মতো।

‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার এসি (স্নিগ্ধা) ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা এবং নন-এসি (শোভন চেয়ার) ভাড়া ৬৯৫ টাকা। একই ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া (এসি) ৪৭০ টাকা এবং (নন-এসি) ২৫০ টাকা।

এ ছাড়া এই রুটে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য একটি কমিউটার ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ মাসের শুরুতে ট্রেনটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিন সংকটের কারণে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১১ নভেম্বর নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে বিরতিহীন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ চলাচলের মধ্য দিয়ে এই রুটে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করা হয়। পরে ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ চালু করা হয়।