ডিজিটাল থেকে ‘স্মার্ট বিচার বিভাগ’ গড়ার কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালের আগে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই বন্দি ছিল। এরপর আমরা সরকার গঠনের পর ক্ষমতা দেশের মানুষের হাতে তুলে দেই। এখন মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে আমরা স্মার্ট করার চেষ্টা করছি।শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত, ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। 

আগারগাঁও, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার আগে জুডিশিয়ারিতে কোন নারী অংশগ্রহণ করতে পারতো না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন। সুপ্রিম কোর্টে যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যয় বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করেন। কিন্তু ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই বন্দি করে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করি। কিন্তু উচ্চ আদালতের ক্ষমতা আবার ২০০১ সালে বিএনপি কেড়ে নেয়। এরপর ২০০৯ সালে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশের মানুষের ন্যয় বিচার নিশ্চিত করবো। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশ থেকে চিরতরে দূর করবো। আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি বলে স্বস্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের ভর্তুকি আমরা সমন্বয় করতে চাই : ওবায়দুল কাদের

 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিচার ব্যবস্থা অনেক ফাস্ট হয়েছে। মামলা জট কমেছে। মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে আমরা স্মার্ট করার চেষ্টা করছি।