যারা ৭ মার্চ পালন করে না, তাদের নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৭ মার্চ
  © সংগৃহীত

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। দিনটির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করে না, তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না, সন্দেহ আছে’।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ৭ মার্চকে যারা অস্বীকার করে বা যারা ৭ মার্চ পালন করে না, তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে, এটিই সন্দেহের বিষয়। কারণ, বাংলাদেশের ইতিহাস, আমাদের স্বাধীনতা ৭ মার্চ ছাড়া হতে পারে না।

এর আগে, সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও একবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর।

উল্লেখ্য, ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় দিন। বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত হবে।

জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো, ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমাবেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীণতার অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস।

বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের ভাষণে, পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে বাঙালির প্রতি স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন অসহযোগ আন্দোলনের।

বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।”

বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরো রক্ত দেবো। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়বো।

সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিলো; যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর, ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।