কাল থেকে চালু হচ্ছে পোস্তগোলা সেতু, আর বিকল্প পথে যেতে হবে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৯ PM , আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৯ PM

সংস্কারকাজ শেষে ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ বুড়িগঙ্গা প্রথম (পোস্তগোলা) সেতু আগামীকাল শনিবার থেকে চালু হচ্ছে। ওইদিন থেকে আগের মতোই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে যাতায়াতে ওই সেতু ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি ও রাজধানীর যানজট কমবে।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের তিন কিলোমিটারে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর দুটি গার্ডার মেরামত ও রেট্রোফিটিংয়ের জন্য ১৫ দিনের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কাজ শুরু হয়। সংস্কারকাজ করার সময় যানবাহনকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে অনুরোধ জানায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারী যান চলাচল নিষেধ ছিল। আর বাস ও হালকা যানবাহনের জন্য পাঁচ দিন বন্ধ ছিল সেতু।
সেতু চালুর বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার আসমা সিদ্দিকা মিলি জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৯ মার্চ থেকে বুড়িগঙ্গা সেতু-১ (পোস্তগোলা সেতু) চালু হবে। এতদিন এই পথ ব্যবহারকারীদের যানজটে পড়তে হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, ভোগান্তি কমবে।
এদিকে শেষ দিনের মতো পোস্তগোলা ব্রিজের সংস্কারকাজ চলায় প্রধান বিকল্প পথ হিসেবে যানবাহনগুলো ব্যবহার করছে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু বা বাবুবাজার সেতু।
ফলে সেতুটি পারাপার হতে কোনো কোনো যানবাহনের সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা।
আজ শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয় যানজট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটও বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে যানজট গিয়ে ঠেকেছে রাজধানীর গুলিস্থানে। এ ছাড়া এই পথের শাখা সড়কেও থাকে যানজট।
ফলে স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন।
কেরানীগঞ্জ-মিরপুরগামী দিশারী পরিবহনের চালক মো. জাফর মিয়া জানান, তিনি সকাল সাড়ে ৮টায় যাত্রী নিয়ে মিরপুরের উদ্দেশে আসেন। তবে বেলা পৌনে ১১টায় তিনি বাবুবাজার সেতু পাড় হয়ে নয়াবাজার পৌঁছান। অর্থাৎ প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তার সময় লেগেছে ২ ঘণ্টার বেশি সময়।
গুলিস্তানগামী লেগুনার যাত্রী কাশেম বলেন, ‘বেলা ১০টায় লেগুনায় উঠেছি। ১১টায় বাবুবাজার সেতুর মাঝখানে এসে ভাড়া দিয়ে নেমে গেছি। বাকি পথটুকু হেঁটেই যাব।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, যানজট নিরসনে বাবুবাজার সেতুর ঢাকা অংশে ট্রাফিক লালবাগ ও কোতোয়ালি ট্রাফিক জোনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। অন্যদিকে কেরানীগঞ্জ প্রান্তে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু এরপরও বাড়তি যানবাহনের চাপে নাকাল সেতু। অসহনীয় যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় ভোগান্তিতে সময় পার করতে হয় যাত্রীদের। যানজট নিরসনে বাবুবাজার সেতুতে সব ধরনের পায়ে চালিত রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা, ঠ্যালাভ্যান, থ্রি-হুইলার, সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, পোস্তগোলা ব্রিজের শেষ দিনের সংস্কারকাজের জন্য শুক্রবারও সকাল থেকে যানজট নিরসনে কাজ করেছি। তাই বাবুবাজার সেতুর দুই পাশেই বাড়তি ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের রিকশা-ভ্যান এ পথে আপাতত চলাচল নিষেধ এবং জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হয়।