ঈদযাত্রায় বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৩ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৩ PM

পবিত্র রমজান মাস চলমান। রোজা শেষ হলেই আসবে ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদ উদযাপন করতে গ্রামমুখী হন বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। আর এবারের ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন যদি বাড়তি ভাড়া নেয়, প্রমাণ যদি পাওয়া যায়, তবে ওই গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মহাসড়ক/সড়কপথে যাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মশিউর রহমান বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার হাইওয়েতে ঈদযাত্রায় ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি এখনো সরানো সহজ হবে। ত্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, তা নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ঈদে আমরা সবাই একসঙ্গে যেতে চাই। তা না করে আমরা ভাগ ভাগ করে, আগে বা পরেও যেতে পারি। তাহলে পাঁচ-সাত বা আট ঘণ্টার মধ্যেই গন্তব্যে যেতে পারব। ঈদের দুদিন আগেই যেতে হবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। জনসংখ্যার তুলনায় গণপরিবহন আমাদের অনেক কম। হজের সময় সৌদিতে সরকার বাস ভাড়া করে। আমাদের এখানে ঈদে সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আপনি আরও আগে বা ঈদের পরও যেতে পারেন। আমরা আশ্বস্ত করছি, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।
রাঙ্গা বলেন, আমরা লক্ষ্য করি কিছু লক্কর-ঝক্কর বাস যেগুলো সারা বছর সিরিয়াল পায় না, সেগুলো ঈদের সময় রাস্তায় নেমে পড়ে। এসব আমরাও ধরতে পারি না, পুলিশও বুঝতে পারে না, কোত্থেকে এগুলো রাস্তায় আসে। এগুলো রিজার্ভ হিসেবে চলে। গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিয়ে যায়। যে রাস্তায় আমাদের ছোট বাসও চলে না সেখানে দেখি বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস ঢুকে পড়ে। আমরা এখনো মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন ও ভটভটি সরাতে পারিনি। এটাও একটা বাধা আমাদের।
প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ আসে। প্রমাণও মেলে। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এ প্রসঙ্গে রাঙ্গা বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেয়, তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন, ব্যবস্থা নেবো। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হবো। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাবো। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, তা আমরা শনাক্ত করব।
কোনো গণপরিবহনের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কী ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেব। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।