‘দক্ষিণ এশিয়া ও এর বাইরে গেম চেঞ্জার হতে পারে মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দর’

জাতীয়
  © সংগৃহীত

স্মার্ট ব্যবস্থাপনায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল ও এর বাইরে একটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনস্থ পার্লামেন্ট এলডি হলে জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের ওশান পলিসি রিসার্চ ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত 'বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর: মাতারবাড়ী দ্বারা বঙ্গোপসাগরে নতুন দৃশ্যের সূচনা' শীর্ষক সেমিনারে তারা এ কথা বলেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ, ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থা, প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সর্বোচ্চ সুবিধা, জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করাসহ আরও কিছু বিষয় এ বন্দরকে এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারে।

তাদের পরামর্শ- উন্নত দেশের অভিজ্ঞ কোনো বেসরকারি অপারেটর বা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থাপনা বিশ্বমানের স্বয়ংক্রিয় এই বন্দরের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পারে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওশান পলিসি পিস ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ফেলো ইমাদুল ইসলাম এবং গবেষক কামরান রেজা চৌধুরী।

রেজা বলেন, অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে মাতারবাড়ী সরকারের একটি বড় সাফল্য। তবে নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই সে অনুযায়ী নীতিমালা নির্ধারণ করতে হবে, যাতে করে বিপুল রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে বন্দরটি আমাদের কাছে সম্পদে পরিণত হয়।

তিনি আরও বলেন, 'মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বন্দরের ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে সরকার ইতোমধ্যে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।'

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, 'মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এমন একটি গেটওয়ে যা বাংলাদেশের মাধ্যমে নেপাল, ভুটানের মতো রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকে সহজতর করবে৷'

তিনি আরও বলেন, 'মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এই বন্দর জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।


মন্তব্য