জিম্মি জাহাজের নাবিকেরা সুস্থ আছেন

জাহাজ
  © সংগৃহীত

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম। আজ বুধবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটি বলেন তিনি। 

কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তাঁরা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।’

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ডিজি জানান, সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই হওয়া জাহাজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, জিম্মি নাবিক উদ্ধারে আলোচনা চলছে।

এদিকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৮ দিন পেরোনোর পর অবশেষে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২০ মার্চ) এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ (ফোন) শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
  
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে। পরে সেটি আরও এগিয়ে উপকূলের ৭ মাইলের মধ্যে অবস্থান নেয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ জাহাজটি আরারও চলতে শুরু করে।

সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাড থেকে গোদবজিরান উপকূলে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগের অবস্থান থেকে এটি প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে। বর্তমানে জাহাজটি উপকূল থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।


মন্তব্য