আগুন লাগা ভবন যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৮ AM , আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৮ AM

রাজধানীর ডেমরার আগুন লাগা ক্রীড়া সামগ্রীর গোডাউনের ভবটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে তিনি জানান, এই ভনটি অলরেডি ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ভেতরে গিয়ে দেখতে পেয়েছি ভবনের কাঠামোগত যে শক্তি সেটি নেই। ভেতরের ছাদ ফেটে গ্যাপ হয়ে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগুনে হতাহতের কোনো খবর নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পাওয়ার কারণ উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক বলেন, আশপাশে পানির উৎস নেই। এ ছাড়া ভবনটিতে সরু সিঁড়ি, ভবনটিতে ওয়াটার রিজার্ভারও নেই।
ক্রমেই আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনীও যোগ দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী। ওয়াসা পানি দিচ্ছে। পুলিশও সহায়তা দিচ্ছে। এ ছাড়া ভলেন্টিয়ার ভাইয়েরাও সাহায্য করছেন।
আগুন আর বাইরে ছড়ানোর আশঙ্কা নেই জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক বলেন, তবে আগুনি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগতে পারে। কারণ ভবনটিতে কোনো বিকল্প এক্সিট পয়েন্ট নেই। ভবনটিরও অবকাঠামোগত ক্ষতির ঝুঁকি আছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় চার তলা ওই ভবনের তিন তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার সকালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী।
রাতভর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একদিকে আগুন নেভান তো অন্যদিকে আবারও দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সেইসঙ্গে কিছুক্ষণ পর পর জানালার কাচ বিস্ফোরিত হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় নৌবাহিনী।
প্রথমে জানা যায়, ভবনটির চতুর্থ তলায় কাপড়ের গোডাউন রয়েছে। পরে ব্যবসায়ীরা জানান, সেটি আমদানি করা ক্রীড়া সামগ্রির গোডাউন।
ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। ঘটনাস্থলে প্রথম ইউনিট পৌঁছায় পৌনে ১২টায়। পরে আরও ৯টি ইউনিট পাঠানো হয়। ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের মোট ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সর্ভিস।