বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে তুরস্কের বায়রাক্তার ড্রোন

ড্রোন
  © ফাইল ছবি

বায়রাক্তার টিবি-২ হলো তুরস্কে তৈরি একটি আক্রমণকারী ড্রোন। এটির নকশাকার হলেন সেলজুক বায়রাক্তার। তুর্কি ভাষায় বায়রাক্তার শব্দের অর্থ হলো পতাকাবাহী। এটি তুরস্ক বিমান বাহিনীর জন্য প্রাথমিক ভাবে নকশা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক তুরস্কে সশস্ত্র ড্রোন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ফলে বায়রক্তার টিবি-২ এর বিকাশ উৎসাহিত হয়েছিল দেশটি।

বায়রাক্তার টিবি-২ ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রথম উড্ডয়ণ করে। ২০১৫ সালের ১৮ই ডিসেম্বরে এটি প্রথমবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তুরস্কের তৈরি বায়রাক্তার ড্রোন ব্যবহার করে কিয়েভ। হামলা চালায় যুদ্ধজাহাজ আর অস্ত্র গুদামে। সেই বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোন যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এভিয়েশন গ্রুপে।

এবার বাংলাদেশের বহরে যোগ হয়েছে যে কোন দেশের জন্য আতঙ্ক বায়রাক্তার ড্রোন। সেইসাথে রয়েছে ১২০ কিলোমিটার দুরে আঘাত হানতে সক্ষম কামান, কিংবা কাঁধে বহনযোগ্য মিসাইল। দেশেই তৈরি হচ্ছে অটোমেটিক মেশিন গান, মর্টার। ছোট ছোট সামরিক অস্ত্রের বুলেটও তৈরি হচ্ছে দেশেই। এর ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সমরাস্ত্র প্রদশর্নীতে তুলে ধরা হয় উচ্চপ্রযুক্তির এই ড্রোন। এতে চারটি লেজার গাইডেড স্মার্ট রকেট সংযুক্ত করা যায়, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। ঘণ্টায় গতি ১২৯ কিলোমিটার থেকে ২২২ কিলোমিটার। বেজ স্টেশন থেকে তিনশো কিলোমিটার দূরে উড়িয়ে নেওয়া যায়। অর্থাৎ চট্টগ্রামে বসে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে কিংবা কক্সবাজার থেকে টেকনাফ সীমান্তে টহল সম্ভব।

সমরসজ্জার বহরে যোগ হয়েছে চীন থেকে আনা কাঁধে বহনযোগ্য মিসাইল। যা বিমান বা হেলিকপ্টার টার্গেট কোরে ছোঁড়া যায়।

একে-ফরটি সেভেন রাইফেলের বিকল্প হিসেবে দেশেই তৈরি হচ্ছে বিডি-জিরো এইট নামে সংক্রিয় রাইফেল। তৈরি হচ্ছে লাইট মেশিন গান বিডি- টুয়েন্টি। এছাড়া ৬০ ও ৮২ মিলিমিটার মর্টার বানানো হচ্ছে বাংলাদেশে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে। ছোট সামরিক অস্ত্রের বুলেট ও আর্জেস গ্রেনেডও তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

যত ধরনের গ্রেনেড আছে আমাদের এখানে যেগুলো ফ্রন্টাল অ্যাটাক বা সম্মুখযুদ্ধে প্রয়োজন হয় বা ক্লোজ কোয়াটার ব্যাটলে যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রয়োজন হয় আমরা সেগুলো উৎপাদন করছি। আমরা ৮২ মিলিমিটার মর্টার, ৬০ মিলিমিটার মর্টার নিজেরাই তৈরি করছি। 

আর্টিলারিতেও সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে সেনাবাহিনীর। নতুন সংযোজন ৪১ কিলোমিটার ও ১২০ কিলোমিটারের আর্টিলারি গান।

এছাড়া বিমানবাহিনী নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে প্রশিক্ষণ বিমান। আর সাবমেরিন সংযোজনে ত্রি-মাত্রিক বাহিনীতে রূপ নিচ্ছে নৌবাহিনী। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে চলবে এই সমরাস্ত্র প্রদশর্নী।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ