ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা না করতে জনসাধারণের প্রতি আইজিপির অনুরোধ

ঈদযাত্রা
  © সংগৃহীত

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ অথবা ১১ এপ্রিল বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে। আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা না করতে জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সায়দাবাদ জনপথ মোড়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি আরো বলেন, আপনারা  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন বাহনের যাত্রী হবেন না। ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঈদ যাত্রা না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন,  সোমবার থেকে ঈদের যাত্রীদের বড় চাপ শুরু হবে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে বাইরে যাওয়ার যাত্রীদের একটা চাপ থাকবে। জনগণের ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে পুলিশের সব সদস্য প্রস্তুত রয়েছে এবং এক যোগে কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ে পুলিশের যে সব সদস্যরা কাজ করছে সিনিয়র কর্মকর্তারা তাদের তদারকি করছে বলে জানান তিনি।

সেসময় তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ঈদ যাত্রা না করার অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন,  মহাসড়কে নসিমন, করিমনসহ ভটভটি জাতীয় বাহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। রাস্তায় আমাদের মোবাইল কোর্ট থাকবে। বেপরোয়া গতিতে যেন গাড়ি চালানো না হয় সেই জন্য আমরা সব চালককে অনুরোধ জানাব। চালকদের আরও বলব বিনা প্রয়োজনে আপনারা ওভার টেকিং করবেন না।

জনাব মামুন বলেন,ঈদের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রে জন সমাগম হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পর্যাপ্ত টুরিস্ট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। টুরিস্ট পুলিশকে সহযোগিতা করতে মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশসহ পুলিশের সব ইউনিট সুষ্ঠু সমন্বয় করে কাজ করবে।

ফাঁকা বাসার নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ প্রধান জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাবেন। ফাঁকা বাড়িতে কেউ যাতে অপরাধ সংগঠিত না করতে পারে সেই জন্য আপনারা ফ্লাট বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পাহারাদার নিয়োজিত করবেন।

জাল টাকার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলে আইজিপি বলেন, ঈদের সময়ে দ্রুত কেনাকাটা হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়। ফলে জাল টাকার কারণে অনেকে প্রচারিত হন। তাই জাল টাকার বিষয়ে সবাই সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং পুলিশকে জানাবেন। এছাড়া কোন প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে আপনারা পুলিশের সেবা নিতে পারবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ঈদের সময় ছিনতাইকারীরা যেমন তাদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি করে তেমনি আমরাও আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি। ছিনতাই নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কাজ করছি।


মন্তব্য