ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বাস টার্মিনালে ভিড়

লম্বা ছুটির কারণে এ বছর ঈদের আগের দিনও রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখী মানুষের তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। তবে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেল ঈদের দ্বিতীয় দিনে। পহেলা বৈশাখসহ আরও কিছুদিন ছুটি হাতে থাকায় আজও (শুক্রবার) অনেকেই যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। ভিড় জমাচ্ছেন টার্মিনালগুলোতে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সরেজমিন সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঘরমুখী মানুষের ভিড়। যাত্রীরা লাইন ধরে টিকিট সংগ্রহ করছেন, কেউবা করছেন বাসের জন্য অপেক্ষা। কোথাও কোথাও মিলছে না প্রত্যাশিত সময়ে টিকিট।

মূলত ঈদে যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতে এবং নানা কারণে যারা বাড়ি ফিরতে পারেননি, তারাই এখন যাত্রা করছেন জানান যাত্রীরা।

রাজধানীর মানিকনগরের বিভিন্ন বাস কাউন্টারেও যাত্রীর তীব্র চাপ দেখা যায়। যাত্রীরা জানান, ঈদের পরদিন এত মানুষ এর আগে কখনো দেখেননি।

পরিবারসহ নোয়খালী যাবেন আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ঈদের আগে তো রাস্তাঘাটে ঝামেলা থাকে, পরিবার নিয়ে যাওয়াটা কষ্টকর। তাই আজ যাচ্ছি।

বঙ্গবাজারে কাপড়ের দোকানে চাকরি করা নাঈম বলেন, ঈদের আগের দিন প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত ডিউটি করতে হয়েছে। শরীর ক্লান্ত থাকায় ঈদের দিন রেস্ট নিয়ে আজ বাড়ি যাচ্ছি।

তবে ঈদের দিনের মতো আজও অভিযোগ মিলেছে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার। বিশেষত ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২০০-৩০০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকায় ফেরার সময় বাস খালি ফেরে বলে ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে।

এদিকে কমলাপুর স্টেশনেও দেখা গেছে যাত্রী চাপ। মূলত ঈদে যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতেই ঈদের পরদিন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানান যাত্রীরা। তবে চাপ থাকলেও ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেটের ট্রেনগুলো কমলাপুর থেকে যাত্রা করে যথাসময়েই।