যেভাবে মুক্তিপণের অর্থ পেল সোমালিয়ার জলদস্যুরা

জিম্মি
  © ফাইল ছবি

অবশেষে ৩২ দিন পর সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ  মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত ৩টা ৮ মিনিট জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

 

এরপরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকে।

 

জাহাজ উদ্ধারে কীভাবে মুক্তিপণের অঙ্ক দস্যুদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যক্ষ করেছেন জাহাজে থাকা নাবিকেরা। এমনই একজন নাবিক তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, ছোট উড়োজাহাজ থেকে জাহাজের পাশে ডলারভ র্তি ব্যাগ ফেলা হয়। জাহাজের পাশে আগে থেকেই স্পিডবোটে করে অপেক্ষায় ছিল দস্যুরা। ডলার ভর্তি ব্যাগ পানি থেকে সংগ্রহ করে দস্যুরা। এরপর প্রায় আট ঘণ্টা পর গভীর রাতে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়।

 

শনিবার বিকেলে মুক্তিপণের অর্থ পেলেও দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, জলে-স্থলে নজরদারি এড়াতেই  দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায় গভীর রাতে। মুক্তিপণের অর্থ পরিশোধের সময় জিম্মি জাহাজটির অদূরে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। স্থলভাগে ছিল সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশের টহল।

 

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রবিবার রাত সাড়ে ৩টায় জাহাজটি মুক্ত হওয়ার খবর দেন। যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করার কথা জানান। 

 

১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মি করার পর সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলের কাছে নিয়ে যায় দস্যুরা। ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মুক্তিপণের দাবি জানায়। প্রায় দুই সপ্তাহ দর-কষাকষির পর মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত হয়।


মন্তব্য