ট্রেনে স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা

ট্রেনে
  © সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রী নিয়ে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ট্রেন। স্বস্তিতে ঢাকা ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা। তারা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সময় ট্রেনে উঠতে যে ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, ফেরার সময় তা হয়নি। সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গেই ট্রেনে উঠেছেন। ট্রেনের কোনো বগিতেই আসনের বাইরে কোনো যাত্রী উঠেনি। তবে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও আধুনিকায়ন করা জরুরি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল)সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পঞ্চগড় থেকে একতা এক্সপ্রেস ঠিক ১০টায় কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেন স্টেশনে থামার পরপরই যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে থাকেন। অনেকের মালামাল কুলিদের বহন করতে দেখা গেছে। আবার একইভাবে অনেককে ঢাকা ছাড়তে স্টেশনের প্লাটফর্মে ঢুকতে দেখা গেছে।

পঞ্চগড়ের একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন ঢাকার বাংলা বাজারের বাসিন্দা ইফতেখার আলম। বাংলা বাজারে তার বইয়ের ব্যবসা রয়েছে। আলাপকালে ইফতেখার বলেন, ‘বাবা-মার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামে গিয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়ার সময় ট্রেনে উঠতেই ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ট্রেনে উঠে দেখি আমার আসনে আরেকজন বসে ছিল। তাকে উঠিয়ে আমি বসলেও পুরো যাত্রা পথ তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে আজ ফেরার পথে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’

একই ট্রেনের যাত্রী মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ঈদ করতে গ্রামে গিয়েছিলেন। আলাপকালে পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী ইমতিয়াজ বলেন, অফিসের কাজে দুইবার ইউরোপের কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তাদের ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে আমরা অন্তত কয়েকশ বছর পিছিয়ে আছি। প্রতি বছর ঈদ যাত্রার সময় নাগরিকদের যে ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়, তা মনে হয় পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। অথচ দেশে নিরাপদ যাতায়াতে ট্রেনই আমাদের সবার পছন্দ। তবে ঈদের ফিরতে যাত্রায় তিনি খুশি বলে জানান। 

এসময় তিনি আরও বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে সরকারের আরও আন্তরিক হতে হবে। রেলে বরাদ্দের হারও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রেল খাতে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি হয়, সেগুলো বন্ধ করলে নাগরিকরা তার সুফল পাবে।


মন্তব্য