ভেসে আসছে অন্য দেশের প্লাস্টিক; জাতিসংঘে সমাধান চাইলো বাংলাদেশ

প্লাস্টিক
  © ফাইল ছবি

একে তো বৈষ্ণিক উষ্ণতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় উঠে আসছে বাংলাদেশ। এর ওপর বিপদ বাড়াচ্ছে অন্য দেশের প্লাস্টিকের বোতল। নদীতে ভেসে আসা এসব প্লাস্টিক পণ্যকে বিপদের বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই, কানাডার অটোয়ায় জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলনে নতুন সংকটের সমাধান চেয়েছে বাংলাদেশ।

দৈনন্দিন জীবনের প্রতি মুহূর্তে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় আমরা প্লাস্টিক বয়ে বেড়াই। পরিবেশ ও প্রকৃতির নানান ক্ষতি ঘটিয়ে, এই প্লাস্টিকের চূড়ান্ত গন্তব্য হয় সাগর-মহাসাগর। প্লাস্টিকের এই ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ভ্রমণকেই অদূর ভবিষ্যতের জন্য বিপদের বড় কারণ বলছেন, কানাডার অটোয়ায় চলমান জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়া প্রতিনিধিরা।

সম্মেলনের লক্ষ্য ছিলো, ২০৪০ সালের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ আশি ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে আনা।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি আইএনসি-৪’র চেয়ার লুইস ভায়াস ভালদিভিয়েসো বলেন, আসুন আমরা জবাবদিহিতা এবং সততার সাথে আলোচনা করি। প্লাস্টিক দূষণ কেন বন্ধ করা প্রয়োজন তার বৈজ্ঞানিক তথ্য- প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। নিজেদের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের একমত হওয়া জরুরি।

প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (ইউএনইপি) বলছে, বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো দিয়ে প্রতিদিন ১৫ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য প্রবাহিত হচ্ছে। দুই হাজার ৫১৯ টন আসছে ভারত ও ২৮৪ টন আসছে মিয়ানমার থেকে। দেশের জন্য এটি বড় সংকট।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ছে আনুমানিক ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৯ টন প্লাস্টিক। ২২ বছর আগে আইন করেও দেশে নিষিদ্ধ করা যায়নি প্লাস্টিক থেকে উৎপাদিত পলিথিন। বরং বেড়েছে।

ফোরামে অংশ নেয়া সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সমুদ্র দূষণে নিজেদের দায় স্বীকারের পাশাপাশি উজানের দেশের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন।

তবে সব ছাপিয়ে দূষণ কমাতে অর্থ ছাড় করার প্রস্তাব বাংলাদেশের। সেজন্য এক হতে হবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ