ইউরোপ থেকে এয়ারবাস কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে

উড়োজাহাজ
  © ফাইল ছবি

উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলো ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। এয়ারবাসের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিমানমন্ত্রী ফারুক খান।

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

বিমানমন্ত্রী ফারুক খান জানান, ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন এয়ারবাস কেনার প্রস্তাব দেন। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে এক থেকে দেড়মাস সময় লাগতে পারে। 

গত বছর প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপ সফরের আগে এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ। একই বছর সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ঢাকা সফরে এসেও এয়ারবাস কেনার প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান জানান। পরে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কারিগরি কমিটি। 

বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘একই ধরনের উড়োজাহাজ না কিনে দুই ধরনের কিনলে ভালো হবে। বোয়িং এর চেয়ে কম মূল্য ও প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকায় সরকার এয়ারবাস কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করছে। প্রাথমিকভাবে ১০টি এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বোয়িং কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।’ 

বিমানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এয়ারবাসের কাছ থেকে এ–৩৫০ মডেলের উড়োজাহাজ কিনতে চায় সংস্থাটি। প্রাথমিকভাবে দুটি উড়োজাহাজ কেনা হবে। আর বোয়িংয়ের বিমানের কাছে আরও অন্তত ২টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজ বিক্রি করতে চায়। 

বিমানের বর্তমান বহরে আছে ২১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন, ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ড্রিমলাইনার, ছয়টি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন এবং পাঁচটি ড্যাশ এইট মডেলের উড়োজাহাজ।

এর মধ্যে ট্রিপল সেভেন ও ড্রিমলাইনারগুলো টানা ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় উড়তে সক্ষম। এ ধরনের উড়োজাহাজ লং হউল হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে সেভেন থ্রি সেভেন উড়োজাহাজগুলো মধ্যম ও স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে ব্যবহার করা হয়। আর ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয় স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে।

বিমানের বহরে এক সময় এয়ারবাসের উড়োজাহাজ ছিল। এ-৩১০ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ দিয়ে বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহন করা হতো। কিন্তু এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বছরখানেক আগে এগুলোকে বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। 

এদিকে, ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজের নির্মান প্রক্রিয়ায় ত্রুটির অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রিশন (এফএএ)। অভিযোগ ওঠার পর এই মডেলের উড়োজাহাজের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে বোয়িং। এফএএ–এর তদন্তে ত্রুটি ধরা পড়লে বিশ্বজুরে হাজারেরও বেশি ড্রিমলাইনার ওড়ানোর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।  


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ