ঢাকার মেট্রোরেলে চড়তে চান ব্রিটেনের প্রতিমন্ত্রী

মেট্রোরেল
  © সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান মেট্রোরেলে ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ব‌লে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক এই প্রতিমন্ত্রী।

গতকাল বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্ত‌রে হওয়া বৈঠক মেট্রোরেলে ভ্রমণের আগ্রহের কথা জানান ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরে ট্রিভেলিয়ান দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তোষ ব্যক্ত করে এর আরও সম্প্রসারণে জোর দেন।

বৈঠকে পূর্ব সম্মতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কেনা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। প্রথম ধাপে সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপে গত ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুরোদমে চালু হয় ঢাকা মেট্রোরেল। এদিন চলাচলের সময়সূচি অপরিবর্তিত রেখে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সবক’টি স্টেশনে মেট্রো ট্রেন থামতে শুরু করে। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৬টি স্টেশন রয়েছে।

তৃতীয় ধাপে গত ২০ জানুয়ারি থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন এ সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

চালু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখন স্বস্তিতে ভ্রমণ করেন মেট্রোতে। সবার মধ্যে তাড়া আছে কিন্তু উদ্বেগ, উৎকন্ঠা বা বিরক্তি নেই। অনেকেই শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই মেট্রোতে চড়েন। অনেকেই জীবনে একবার মেট্রোরেলে চড়ার আনন্দ নেওয়ার জন্যও উঠে পড়ছেন এই বাহনটিতে।


মন্তব্য