সরকারি হাসপাতালে থাকবে না অবৈধ ক্যান্টিন ও ওষুধের দোকান

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অবৈধ ফার্মেসি, ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  © সংগৃৃহীত

দেশের সরকারি পর্যায়ে সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ ফার্মেসি, ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এর সই করা চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালকদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর ও জেনারেল হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভেতরে অবস্থিত, অবৈধ, অনুমোদনহীন, ইজারার মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যানটিন, ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে বকেয়া পাওনা আদায়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হলো। 

এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের অভ্যন্তরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনে অনুমতি দেওয়া যাবে না। যাদের চুক্তির মেয়াদ রয়েছে, মেয়াদান্তে চুক্তি আর নবায়ন না করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। 

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী কুমিল্লা সফরে যান। কুমিল্লার পাঁচটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবৈধ ওষুধের দোকান রয়েছে। মন্ত্রী থাকাকালীন এসব দোকান বন্ধ থাকলেও মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে সেগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করে। বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আনলে তিনি হাসপাতাল থেকে এসব অপসারণের নির্দেশ দেন। 

এ প্রসঙ্গে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালের অভ্যন্তরে ফার্মেসি ও ক্যানটিনের নামে জায়গা দখল করে আছে, কিন্তু টাকা পরিশোধ করছে না। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কোনো চুক্তি ও ইজারা ছাড়াই স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সরকারি স্থাপনা দখল করে ব্যবসা করছেন। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো অপসারণের পর হাসপাতালগুলোয় ন্যায্যমূল্যের মডেল ফার্মেসি স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ