নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু, সাগর উত্তাল, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর
  © ফাইল ছবি

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দুপুর দেড়টা থেকে চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন থেকে দ্রুত পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। নিম্নচাপটি বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতও অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। এদিকে, তীব্র গরমের পর ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।

নগরীর আন্দরকিল্লার বাসিন্দা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত লাবনী হাফিজ বলেন, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছি। সিএনজি অটোরিকশাগুলো বাড়তি ভাড়া চাচ্ছে।

বরগুনায় বেড়েছে জোয়ারের পানি, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

শনিবার (২৫ মে) সরেজমিনে বরগুনার বড়ইতলা এলাকা দেখা যায়, নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই হয়েছে। এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ভেতরের এলাকায় পানি প্রবেশ না করলেও বাইরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। জোয়ারে পানির তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেলে বেড়িবাঁধ টপকে পানি বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।