ভোর থেকেই রাজধানীতে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি; তলিয়ে গেছে মহাসড়ক

রিমাল
  © বাংলাদেশ মোমেন্টস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এরপর উপকূল থেকে শুরু করে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়। এখনও তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মহাবিপৎসংকেত কমে আসলেও উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেশ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। উপকূলের বেশ কয়েকটি এলাকার গাছপালা, ঘরবাড়ি তছনছ হয়েছে গেছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, কৃষি খামারসহ বিস্তীর্ণ মাঠ। সারাদেশে অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব কমে গেলেও রাজধানীতে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

নিম্নচাপে প্রভাব মঙ্গলবারও (২৮ মে) থাকতে পারে। আজ সোমবার (২৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, স্থল নিম্নচাপ স্থায়ী কিছু নয়। এটার নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্র বলতে তেমন কিছু নেই। তবে সাগরে নিম্নচাপ হলে সুনির্দিষ্ট কেন্দ্র থাকে। রিমাল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, যশোর থেকে মাদারীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা হয়ে এটি ভারতের দিকে গিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতেও বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবারও কিছুটা প্রভাব থাকতে পারে। তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে।

রিমাল ও রিমালপরবর্তী ঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতেও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি সড়কে গাছ পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীতে বড় দুর্ঘটনার খবর না মিললেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।

রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, লালবাগ, কাজলাসহ বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে গেছে মহাসড়ক। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীসাধারণ। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের ৫৪১টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরমধ্যে আংশিক নষ্ট হয়েছে ৪৪৮টি এবং সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে ৯৩টি ঘরবাড়ি। এছাড়া ২২ লাখ মানুষ প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছেন।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলায় দুই হাজারের অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরচাপা ও গাছচাপায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন করে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।