মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কেউ মামলা করলে ব্যবস্থা: সিআইডি

মালয়েশিয়া
  © সংগৃহীত

গত শুক্রবার ছিলো মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার শেষ দিন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। যদিও বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার। 

কোটা পূরণ হওয়ায় ৩১ মে–এর পর প্রবাসী শ্রমিক প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার। অবশ্য গত ১ মার্চ এ কথা সরকার ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আসা বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী প্রতি কর্মীর বিমান ভাড়াসহ ৭৯ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো গড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। ফলে টাকা দিয়েও বিমানের টিকিট না পাওয়া শ্রমিকেরা এখন ঋণের জালে আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা এই মানুষেরা মামলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। 

আজ রবিবার (০২ জুন) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘গত পরশুদিন মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে বিমানবন্দরে আমরা যা দেখেছি, তা নিয়ে যদি কোনো সংক্ষুব্ধ কেউ মামলা করেন, তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। শুধু পাচার মামলা নয়, পাশাপাশি অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানোর মাধ্যমে কিংবা অবৈধভাবে অর্থ আয় করে হস্তান্তর-এসবও আমরা মানি লন্ডারিং আইনে মামলার আওতায় নিয়ে আসব।’ 

সিআইডি মানবপাচার প্রতিরোধে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করে এবং মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মানবপাচার তদন্ত সেল রয়েছে। সেটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এ সেলের একটি ব্রাঞ্চ বিমানবন্দরে রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিজেক্টেড হয়, রিপোর্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করি। মামলা হলে আমরা কিন্তু আইনি ব্যবস্থা নিই। এ ছাড়া কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা দায়ের করে তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিই।’