প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন আজ, হতে পারে যেসব চুক্তি

প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সফরে আজ শুক্রবার দুপুর দুইটায় দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে দুদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ সহযোগিতার পাশাপাশি তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সই হতে পারে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি। 

চলতি জুনেই ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ থেকে ১০ জুনের সফরে একান্তে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। এসময় শেখ হাসিনাকে দ্বিপাক্ষিক সফরের আমন্ত্রণ জানান মোদি। সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ দুদিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজেপি টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর কোনো দেশের সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম সফর। 

এ সফরের বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের এই আলাপ আলোচনা আসলে সম্পর্কের গতির একটি মূল্যায়ন। ভারত আমাদেরকে ৮ বিলিয়ন ডলারের যে লোন দিয়েছে, তার ২০ শতাংশের বেশি কিন্তু ব্যবহৃত হয়নি। আমার মনে হচ্ছে, এই জায়গাটা মনোযোগ দিয়ে দেখা উচিত।’   

সফরে দিল্লির অগ্রাধিকার নিরাপত্তা ইস্যু, আর ঢাকার অগ্রাধিকার পানি। তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন ইস্যুর সুরাহা হয়নি এখনো। এ ছাড়া সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা এবং বাণিজ্যের কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে অনেক বেশি আমদানি করি। ভারত কিন্তু এত বেশি আমাদের থেকে নেয় না। এই বাণিজ্য গ্যাপটা, এটা কমিয়ে আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বাজারে আমাদের প্রবেশ বাড়ানোও দরকার। এ ছাড়া সীমান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিস্তা পানিবন্টন চুক্তিতে ভালো কিছু আশা করছি। আগে যে বাধা ছিল, সেই বাধা এখন কিন্তু সেই। তাই আশা করাই যেতে পারে।’

সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের গুলি এবং দেশটির ভেতরে চলমান সংঘাতের আঁচ মোবাবিলায় ভারতের সঙ্গে আলোচনার তাগিদও দিয়েছেন কূটনীতিকদের। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মিয়ানমারের ভেতরে কিন্তু একটা বড় ধরনের মানবিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও চীনেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকছে। কাজেই এ বিষয়গুলো নিয়ে পারস্পরিক আলোচনার একটা সুযোগ রয়েছে।’ 

শনিবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। পরে হায়দ্রাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। 


মন্তব্য